মৃত্যুর অধিকার

এ শালী খানকিমাগী নটিমাগিরে এত করে বললুম আজ বেশী খাব না তবু আমাকে খাইয়ে ছাড়লো; চারাল, নচ্ছার কোথাকার।


এ রাখাল হতচ্ছাড়া তুই এসব কি বলছিস।

জ্ঞান হারালো নাকি?
এই রাখাল রাখাল

কে কে কে আপনি? (তোতলাতে তোতলাতে) বিষ্ফোরিত নেত্রে।
আরে আমি তোর হরি কাকা।

ঃ হরি কাকা, তুমি তুমি এখানে কি করো।
ঃ আরে তোকে দেখেই দেখেই থামলাম,
ঃ আমাকে দেখে কেন?
ঃ আরে মরা পোড়ার কাজ তো তুইই করিস নাকি?
ঃ হ্য তোমাকেও তো পুড়িয়েছিলাম,
ঃ আরে হ্যাঁ আমি তো সেজন্যই তোর খোজে আসছি
ঃ আমার খোজে আসছো মানে?

ঃ স্বর্গের দ্বারে ওরা আমাকে আটকে দিল ওরা বলল আমি নাকি মরি নাই, তুই তো আমাকে পোড়ালি, তাই তোকে নিতে এলুম, গিয়ে একটু বলে দিবি তুই নিজ হাতে আমাকে পুড়িয়েছিস।

আবার হার্টফেল করল নাকি? এত ভীত পরান নিয়া এ কেমনে যে মড়া পোড়ায়, ঠাকুর জানে?

(খানিক সেবা শুশ্রূষা করার পর)
ঃ হরি কাকু তুমি সত্যি মর নাই?
ঃ আরে কীসব বাচ্চাদের মতো কথা বলছিস? আমি তো সত্যি মরে গেছি, করোনায় মরলাম।
ঃ তুমি তাহলে এখানে কেন?
ঃ স্বর্গের দ্বার রক্ষী বললো আমি নাকি মরে নাই, আমরা একসাথে পাঁচজন স্বর্গদ্বারে গেছিলাম, আমি, করিম, রহিম যদু মধু, এরমধ্যে শুধু নাকি যদুই মারা গেছে, আমরা এত করে বললাম না মরলে এখানে আসলাম কি করে?
সে মানতেই চাইল না...
সে বলল তোমাদের সরকার বাহাদুর ঘোষণা দিয়েছে তোমাদের মধ্যে একজন মারা গেছে, বাকিরা মারা যাও নাই তোমরা এ গেট পেরোতে পারবে না।

আরে বাবা কি আশ্চর্য আমিতো মরিয়াছি এখন কি করিয়া প্রমাণ করি যে আমি মরিয়াছি। আরে বাপু চিকিৎসা করাতে পারলে না তাই বলে কি মরিবার অধিকার দিবে না

তাই আমি নিরুপায় হয়ে তোকে নিতে এসেছি, তুই গিয়া সাক্ষ্য দিবি তুই আমাকে নিজ হাতে পোড়াইছিস।

এই রাখাল কোথায় যাচ্ছিস?

তুমি মরিয়াছ, মরিয়াছ, না মরিয়াছ না মরিয়াছ
মরাকে মারিয়া আমি মরিতে পারব না...
(বলিতে বলিতে রাখালের উর্দ্ধশ্বাসে পলায়ন)

মে ২০২১ খ্রিঃ

Post a Comment

Previous Post Next Post