একদিন বিকেলের
গল্প। বিকেলে একা বের হয়েছি। একা একা ভাল্লাগছিলো না। তাই আমি আমার ফ্রেন্ডদের বাসায়
গেলাম তাদের ডাকতে যে তারা বের হবে কিনা।
তো প্রথমে
গেলাম আবদুলের বাসায় । আবদুল অনেক ব্রিলিয়ান্ট
আর তার পাশাপাশি পড়াশুনা করতেও অনেক পছন্দ করে। তো আবদুল এর বাসায় নক করলাম । আবদুল
এর মা দরজা খুললো। আমি সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,” আন্টি আবদুল আছে বাসায়?” আন্টি সরল
গলায় উত্তর দিলেন ,”পড়ছে, যাও দেখে আসো।“
আমি না করে
চলে আসলাম। পড়ার ছেলে পড়ুক । ওকে বের করে লাভ নেই।
তারপর গেলাম
বাবুলের বাসায়। বাবুল খেতে খুব পছন্দ করে। মোটা-সোটা ছেলে। বাবুলের বাসায় নক করলাম।
ওদের বাসার কাজের মেয়ে দরজা খুললো , নাম বিলকিস। সালাম সবাইকেই দেই আমি। ওর সাথেও ব্যাতিক্রম হলো না। আমি সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,”বাবুল বাসায়
আছে?” সে জবাব দিল,” হ্যাঁ, আছে তো খাচ্ছে ।যাও দেখে আসো।“
আমি ভেতরে
না গিয়ে চলে আসলাম। খাচ্ছে খাক। খাওয়ার সময় ডিস্টার্ব করা উচিত না। বিলকিস বলে আসলাম
যে ওকে বলতে আমি এসেছিলাম। বের হতে চাইলে খাওয়া শেষ করে ক্লাব ঘরে চলে আসতে।
তারপর গেলাম
মাহীনের বাসায়। মাহীন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে বেশি পছন্দ করে। তো মাহীনের বাসায় নক
করলাম, মাহীনের ছোট বোন দরজা খুললো। এবার স্কুলে ভর্তি হয়েছে। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম,”
তোমার ভাইয়া কোথায়? বাসায় আছে?” “হ্যা, আছে। যাও দেখে আসো।“
আমি মুখ চেপে
হাসা শুরু করলাম। দুইবার পরপর দেখে আসো শুনার পর এবার গোসল করার মূহুর্তেও দেখে আসো
!! ও তো খুব পিচ্চি তাও হাসি পাচ্ছে। আমি কি
হাসবো ওর আম্মুও হেসে হেসে আসলো। ওকে কোলে তুলে নিলো। বললো,” আমি মাহীনকে বলে দিবো
নে যে তুমি এসেছিলে।“
আমি আন্টিকে
সালাম জানিয়ে বের হলাম । এখনো হাসি পাচ্ছে। আমার জায়গায় থাকলে সবাই হাসতো। মাহীনের
বোন খুব মিষ্টি।
দারুণ!
ReplyDeleteধন্যবাদ!!
Delete