সিম রাউটার খুব কাজের জিনিস যদি আপনি খরচ বুঝে শুনে করেন। আমরা একসময় জিপি মডেম ব্যবহার করতাম। কালক্রমে থ্রিজি এলো। তখন ১এমবিপিস স্পীড দিয়ে ওরে ফ্রি আনলিমিটেড ইউজ করতাম ঐ মডেমে। hsdpa বা H+ চিহ্ন উঠতো। এরপর এলো ব্রডব্যান্ড ওয়াইফাই এর যুগ। ২ এমবিপিএস ছিলো ১৫-১৬ এর দিকে। সিংগেল এন্টেনা রাউটার দিয়ে আমার ঘরে উত্তর পাশের রূমে। কাভারেজ দিতো না আব্বুর রূমে। আব্বু তখনো স্মার্টফোন কেনে নাই।
আস্তে আস্তে ৪ থেকে ৮, ৮ থেকে ১০, ১০ থেকে ১২, ১২ থেকে ১৬, ২০ হয়ে ২৫ এমবিপিএস এখন। রাউটার নতুন কি একটা যেনো বৌ নেটের ওদের দিয়ে আনাইছে আগেরটার চেয়ে বাজে। ৪ এন্টেনা, ৫জি, ২.৪জি হেনতেন।
এরপর দেখি ইউটুবে, ৪জি ওয়াইফাই মডেম রাউটার। ওমা এ যে দেখি জিপির মডেম। খালি তফাত, সিম ঢুকায় এটা পাওয়ার ব্যাংকে লাগাইলে গোটা বাংলাদেশের যে কোনো জায়গায় ওয়াইফাই বানায় যাওয়া যায়। একটু গরম হয়, ডর লাগতে পারে ফুটে টুটে যায় নাকি আবার। বাট ট্রাস্ট মি। এই ১২০০ টাকার জিনিস খুব কাজের। তবে, মুন্ডা নিয়ে ভয়। একটু জোরে চাপ খেলে ইউএসবি অংশটা খুলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ১৫০ এমবিপিএস হায়েস্ট স্পীড দিতে পারবে। একবার জিপিতে ৮২.২ এমবিপিএস পেয়েছিলাম।
একবার তো হয়েই গেলো নষ্ট। অফিস এলাকার মোড়ের এক মেকানিককে রিকোয়েস্ট করে ঠিক করালাম। এরপর খুব যত্ন করে ব্যবহার করতে শুরু করলাম।
এরপর ভুত চাপলো ৪জি পকেট রাউটারের। ওলাক্স কোম্পানির একটা ঝোঁকের বশে নিয়ে ফেললাম। এবার ঝামেলা নাই। ব্যাটারি বিল্ট ইন, ১০,১২ ঘন্টা ব্যাক আপ। ৩০০ এমবিপিএস লিমিট। মানে পেজ স্পীড ৩০০ পর্যন্ত উঠতে পারে। এগুলোকে মি-ফাই বা মোবাইল ওয়াইফাই বলে।