গল্পঃ- প্রেমের পাল্লায়



 

উত্তরা ভার্সিটি। অন্য কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়ে এই প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি। উত্তরা ভার্সিটিতে খরচ বর্তমান বাজারের  অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এর তুলনায়  কমই বলা চলে।

বাসা থেকে যেয়ে এসে ক্লাস করি। বাসা আমার গাজীপুরে। ভার্সিটির বাস দিয়ে যাই।

গাজীপুর থেকে তিনটা বাস যায় । সকাল সাড়ে ছয়টায় একটা, সকাল সাতটায় একটা আর আটটায় একটা। তার মধ্যে সকাল সাড়ে ছয়টার যে বাসে আরামে যাওয়া যায়। কারণ গাজীপুর থেকে অনেক ছেলেপেলে যায়। আর সাতটার আর আটটার বাসে ভিড় বেশি হয়। সিট পাওয়া যায় না। তাই আমি সকাল সাড়ে ছয়টার বাসে চলে যাই। তখন জ্যামও কম থাকে।

বেশি সকালে যাওয়ার কারণে পেট পরিষ্কার করে যাওয়া  না। মানে টয়লেট এতো সকালে আমার কমই আসে। যার কারণে ভার্সিটি গিয়ে টয়লেট ইউজ করতে হয়। তো আজকেও ভার্সিটি পৌঁছে কিছুক্ষণের মধ্যে আমাকে টয়লেটে যেতে হলো।

তো আমি টয়লেটের ভেতর নিজের কাজ সারছি, বাইরে দুটো ছেলের শব্দ পেলাম। তাদের কথোপকথন শুনতে পেলাম। তাদের মধ্যে একজন বলছিলো, “ও ফিজিক্স এ খুব ব্রিলিয়ান্ট। কলেজের স্যাররাও যেনো ওকে ক্লাসে আসতে ভয় পেতো। কারণ ও অনেক প্রশ্ন করতো। না এমন না যে স্যারদের ছোট দেখাতে এরকম করতো। ও নিজের জানার জন্যেই করতো । স্যাররাও বুঝতো। ও আবার আইনস্টাইন এর ভক্ত ছিলো। তো ওর নামের আগে আইন্সটাইন যুক্ত হয়ে গিয়েছিলো। আমার ফোনে ওর নাম্বার সেইভ করা আইনস্টাইন নামে, মেসেঞ্জারে ওর নিকনেইম দেওয়া আইনস্টাইন।“

তারপর আরেকজন জিজ্ঞেস করলো,”অ এখন কোথায় পরে?”

সে বললো, “রুয়েটে আইপিএ সাব্জেক্ট পাঈছে, ঐখানেই। ওর বুয়েটে ভালো সাব্জেক্ট পেতো। মাঝে একটা মেয়ের পাল্লায় পড়ে বুয়েট মিস হয়ে গেলো ওর।“

 

আমি ভাবলাম এতো ভাল ছাত্রও মেয়েড় পাল্লায় পরে এরকম হয়,ভাগ্যিস আমি কোনো প্রেমের  আমি পড়িনি। পড়লে তো আমার আরোও ধস নামতো।


Post a Comment

Previous Post Next Post